পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

Last updated on June 13th, 2025 at 11:08 am
একটা সময় ছিল যখন “পাইলস” শব্দটা শুনলেই লোকজন মুখ লুকাত। অনেকে ভাবতেন এটা লজ্জার, গোপন রাখার মতো রোগ। অথচ বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে পাইলস এখন ঘরে ঘরে দেখা যায়। এই সমস্যায় পড়ে অনেকেই দিনের পর দিন কষ্ট পান, কিন্তু চিকিৎসা নেন না—ভয়ে, সংকোচে বা ভুল তথ্যের কারণে।
তবে আশার কথা হলো, পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় এখন আর কল্পনা নয়। আপনি যদি শুরুতেই সচেতন হন, খাদ্যাভ্যাস ও দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন আনেন, তাহলে অপারেশন ছাড়াই মুক্তি সম্ভব। এই লেখায় আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, চিকিৎসকের পরামর্শ ও ঘরোয়া কৌশল মিলিয়ে বিশ্লেষণ করব এমন কিছু পদ্ধতি যা সত্যিই কাজে দেয়।
তবে মনে রাখবেন, পাইলস যেমন ধীরে ধীরে হয়, তেমনি এটি থেকে মুক্তির প্রক্রিয়াও সময়সাপেক্ষ। ধৈর্য, নিয়মিত চর্চা ও সঠিক তথ্যই আপনাকে চূড়ান্ত সাফল্য এনে দেবে।
Table of Contents
- পাইলস কী ও কেন হয়?
- পাইলস এর লক্ষণ ও ধরন
- অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা
- কি খেলে পাইলস ভালো হয়?
- পাইলস থেকে মুক্তির ব্যায়াম: ছোট অভ্যাস, বড় উপকার
- পাইলস থেকে মুক্তির দোয়া ও মানসিক প্রস্তুতি
- পাইলস নির্ণয়ে চিকিৎসকের করণীয়
- পাইলস থেকে কি ক্যান্সার হয়?
- প্রচলিত ভুল ধারণা ও প্রতিকার
- FAQs (সচরাচর জিজ্ঞাসা)
- উপসংহার: মুক্তির চাবিকাঠি আপনার হাতেই
পাইলস কী ও কেন হয়?
পাইলস বা অর্শরোগ হলো মলদ্বারে রক্তনালীগুলোর ফোলা ও স্ফীত হয়ে যাওয়া। এটি কখনো ভেতরে হয় (ভিতরের পাইলস) আবার কখনো বাইরে এসে দেখা যায় (বাহিরের পাইলস)। যখন পায়খানার সময় অতিরিক্ত চাপ দিতে হয়, তখন রক্তনালীগুলো ফুলে ওঠে এবং সময়ের সাথে সাথে সেগুলো ব্যথাযুক্ত হতে পারে।
পাইলস হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:
-
দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য
-
নিয়মিত শরীরচর্চার অভাব
-
জল কম পান করা
-
পাচনতন্ত্রে সমস্যা
-
অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া
-
টয়লেটে অতিরিক্ত সময় থাকা
-
গর্ভাবস্থার চাপ
-
অতিরিক্ত ওজন
পাইলস কিন্তু বয়সভেদে সবারই হতে পারে। এমনকি আমি একবার একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের কথাও শুনেছি, যিনি পরীক্ষার সময় কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে পাইলসের সমস্যায় পড়ে যান। মানে জীবনযাত্রায় ছোট্ট অনিয়মও এ রোগের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
পাইলস এর লক্ষণ ও ধরন
পাইলসের লক্ষণগুলো আপনি যত দ্রুত চিহ্নিত করবেন, চিকিৎসাও তত দ্রুত ও সহজ হবে। এই লক্ষণগুলোকে অনেকেই অবহেলা করেন, অথচ সময়মতো পদক্ষেপ নিলে অপারেশনের দরকারই পড়ত না।
পাইলসের সাধারণ লক্ষণ:
-
পায়খানার সময় রক্ত পড়া
-
মলদ্বারে চুলকানি ও অস্বস্তি
-
পায়খানার সময় ব্যথা বা চাপ
-
মলদ্বারের চারপাশে ফুলে থাকা বা গুটির মতো অনুভব
-
লম্বা সময় টয়লেটে বসে থাকতে হয়
পাইলস প্রধানত দুই ধরনের:
ধরন | ব্যাখ্যা |
---|---|
ভিতরের পাইলস | মলদ্বারের ভেতরে হয়ে থাকে। সাধারণত ব্যথা হয় না কিন্তু রক্তপাত হয়। |
বাহিরের পাইলস | মলদ্বারের বাইরের অংশে ফোলাভাব দেখা যায়। মাঝে মাঝে খুব ব্যথা করে। |
এই দুটি প্রকারের পাইলসই যথাযথ ব্যবস্থাপনা ছাড়া বাড়তে থাকে এবং এক সময় অর্শ রোগ থেকে মুক্তির উপায় কঠিন হয়ে পড়ে।
অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা
অনেকেই মনে করেন, পাইলস মানেই অপারেশন। কিন্তু সত্যি বলতে কী, আমি নিজেও একসময় ভেবেছিলাম চিকিৎসা মানেই ছুরি-কাঁচি। কিন্তু চিকিৎসক যেদিন বললেন, “তুমি যদি এখনই লাইফস্টাইল পাল্টাও, তাহলে অপারেশনের দরকার নেই”—সেদিন থেকে আমি নিজেকে বদলাতে শুরু করি।
অপারেশন ছাড়াই পাইলস থেকে মুক্তির কার্যকর উপায়:
-
অ্যানাল লুব্রিকেন্ট ব্যবহার: পায়ুপথে প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহারে চাপ কমে এবং অস্বস্তি দূর হয়।
-
উষ্ণ গরম পানিতে সেঁক (সিটজ বাথ): প্রতিদিন সকালে ও রাতে ১০ মিনিট বসলে ব্যথা ও ফোলাভাব কমে।
-
ইসবগুলের ভুসি খাওয়া: এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, মল নরম করে এবং পায়খানা সহজ করে দেয়। পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম খুঁজলে এই ভুসি প্রায় সব চিকিৎসকের প্রাথমিক পরামর্শে থাকে।
-
বিশ্রাম: অতিরিক্ত ভারি কাজ না করে পায়খানার পরপর বিশ্রাম নেওয়া।
-
পায়খানার সময় জোরে চাপ না দেওয়া: এটি অভ্যাস করে ফেললে ভিতরের পাইলস হওয়া বন্ধ হয়।
এই অভ্যাসগুলো আমি নিজে ফলো করে দেখেছি কতটা কার্যকর। হ্যাঁ, ফলাফল একদিনে হয় না, কিন্তু কয়েক সপ্তাহের ভেতরই অনেকটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
কি খেলে পাইলস ভালো হয়?
খাবারই আপনার ওষুধ, বিশেষ করে পাইলসের ক্ষেত্রে। আমি যখন ডায়েট পরিবর্তন করি, তখন বুঝি খাবারের ভূমিকা কতটা বড়। এক সময় পায়খানায় গেলে আতঙ্কে ভুগতাম—যন্ত্রণা, রক্ত, চাপ… অথচ কয়েক সপ্তাহ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পর ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যায়।
পাইলস কমাতে যা খাওয়া উচিত:
-
আঁশযুক্ত খাবার: শাক-সবজি, মটরশুটি, ডাল, ওটস, চিড়া
-
ফলমূল: কলা, পেয়ারা, বেল, পেঁপে, আপেল
-
ইসবগুলের ভুসি: দিনে একবার পানিতে গুলে খেতে পারেন
-
পানি: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান
-
প্রাকৃতিক ঘি: অল্প পরিমাণে খেলে হজমে সাহায্য করে
এড়িয়ে চলুন:
-
লাল মাংস
-
মসলা ও তেলচর্বিযুক্ত খাবার
-
দুধ ও দুধজাত খাবার
-
কফি, চা ও কোমল পানীয়
-
বাদামজাত খাদ্য
এই তালিকাটা অনেকে অগ্রাহ্য করেন, কিন্তু আমি নিজে এই নিয়ম অনুসরণ করেই পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় খুঁজে পেয়েছি।
পাইলস থেকে মুক্তির ব্যায়াম: ছোট অভ্যাস, বড় উপকার
যখন ডাক্তার বলেছিলেন “চলাফেরা করো, পায়ুপথে রক্ত চলাচল বাড়বে”—তখন ব্যায়ামের গুরুত্ব আমি প্রথমবার বুঝেছিলাম। শুধু ওষুধ খেলেই পাইলস যাবে না, আপনার শরীরকে চলমান রাখতে হবে।
যে ব্যায়ামগুলো সবচেয়ে কার্যকর:
-
পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ (Kegel Exercise)
এটি মলদ্বার ও নিচের পেশীগুলো শক্তিশালী করে। দিনে ৩ বার ১০-১৫ বার করে করলে ফল পাবেন। -
পায়চারি
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটলে হজম ভালো হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমে এবং অর্শ রোগ থেকে মুক্তির উপায় সহজ হয়। -
যোগব্যায়াম
যেমন ‘মালাসন’, ‘পবনমুক্তাসন’, ও ‘শলভাসন’—এই আসনগুলো পায়ুপথে চাপ কমায় এবং অন্ত্রে রক্ত চলাচল বাড়ায়। -
স্কোয়াটিং ব্যায়াম
পায়খানার সময়ও স্কোয়াটিং ভঙ্গিমা কাজে আসে। নিয়মিত অভ্যাসে এটি মল ত্যাগ সহজ করে।
ব্যায়াম করার সময় মাথায় রাখুন:
-
খালি পেটে ব্যায়াম করবেন
-
হঠাৎ করে ভারি ব্যায়াম নয়, ধীরে ধীরে শুরু করুন
-
অতিরিক্ত চাপ দেবেন না
-
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে অভ্যাস গড়ুন
ব্যায়াম শুধু পাইলসের মুক্তিতে নয়, বরং এটি জীবনের প্রতিটি অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্তির প্রথম ধাপ।
পাইলস থেকে মুক্তির দোয়া ও মানসিক প্রস্তুতি
অনেকে প্রশ্ন করেন: “পাইলস থেকে মুক্তির দোয়া আছে কি?”—হ্যাঁ, আছে। কিন্তু দোয়া শুধু মুখে বললেই হয় না, মনেও বিশ্বাস রাখতে হয়।
কিছু দোয়া ও জিকির যা মানসিকভাবে প্রশান্তি দেয়:
-
সূরা আল-ফাতিহা প্রতিদিন ৭ বার পড়া
-
“আসআলুল্লাহাল আযিম, রব্বাল আরশিল আযিম, আয়্যাশফিয়াকা” – এই দোয়া ৭ বার পড়ে পানি ফুঁ দিয়ে পান করুন
-
সূরা আর-রাহমান প্রতিদিন একবার করে শুনুন বা পড়ুন
এসব দোয়া মানসিক স্বস্তি এনে দেয় এবং রোগমুক্তির আত্মবিশ্বাস জাগায়। আর আত্মবিশ্বাস থাকলে, শরীর নিজেই সুস্থতার পথে হাঁটে।
পাইলস নির্ণয়ে চিকিৎসকের করণীয়
যখন ঘরোয়া উপায়ে কাজ হচ্ছে না, বা রক্তপাত বাড়ছে—তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ দেরি করলে এই রোগ থ্রম্বোসড পাইলস, ফিস্টুলা, বা এমনকি রেক্টাল ক্যান্সারে পর্যন্ত গড়াতে পারে।
চিকিৎসক কীভাবে রোগ নির্ণয় করেন?
-
ডিজিটাল রেক্টাল এক্সামিনেশন (DRE)
হাতে গ্লাভস পরে মলদ্বারে সমস্যা পরীক্ষা করেন -
অ্যানোস্কোপি
পায়ুপথের ভেতর ছোট একটি যন্ত্র ঢুকিয়ে দেখা হয় ফোলাভাব বা ক্ষতের অবস্থান -
সিগময়েডোস্কোপি / কলোনোস্কোপি
যদি রক্তপাত বা ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকে, তখন এই পরীক্ষা করা হয়
পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম (প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী):
ঔষধ | কাজ |
---|---|
Daflon 500 mg | রক্তনালী শক্ত করে, ফোলাভাব কমায় |
Pilex Tablet / Cream | আয়ুর্বেদিক ঔষধ ও মলম |
Preparation H Cream | বাহিরের পাইলসের জন্য ব্যবহৃত হয় |
Isabgol Husk | কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে |
গুরুত্বপূর্ণ: কোনো ওষুধ নিজের মত করে খাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কিছু নয়।
পাইলস থেকে কি ক্যান্সার হয়?
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বারবার করা প্রশ্ন। বাস্তবে:
-
পাইলস নিজে থেকে ক্যান্সার হয় না
-
কিন্তু পায়খানায় রক্ত পড়া, যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে সেটি ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে
-
কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ অনেকটা পাইলসের মতোই
পার্থক্য:
পাইলস | ক্যান্সার |
---|---|
ব্যথা ছাড়া রক্ত পড়া (ভিতরের পাইলস) | হঠাৎ রক্ত পড়া, ওজন কমা |
ব্যথা শুধু বাহিরের পাইলসে হয় | ব্যথা সহ, মলের রঙ পরিবর্তন হয় |
চিকিৎসায় উন্নতি হয় | সময়ের সাথে খারাপ হতে থাকে |
তাই, যদি রক্তপাত ৭ দিনের বেশি চলে অথবা দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, তখন অবশ্যই কোলোনোস্কোপি করে রোগ চিহ্নিত করা উচিত।
প্রচলিত ভুল ধারণা ও প্রতিকার
অনেকেই পাইলস সম্পর্কে ভুল ধারনা পোষণ করেন, যেগুলো সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
সাধারণ ভুল ধারণা:
-
“পাইলস শুধু বয়স্কদের হয়”
→ না, এখন তরুণদের মধ্যেও এটি ব্যাপক। -
“একবার পাইলস হলে চিরকাল ভোগাবে”
→ ভুল। শুরুতেই ব্যবস্থা নিলে একেবারে ভালো হওয়া সম্ভব। -
“ঘরোয়া ওষুধই যথেষ্ট”
→ কিছু ক্ষেত্রে যথেষ্ট, তবে সবসময় নয়। -
“পাইলস মানেই অপারেশন”
→ না, ৮০% ক্ষেত্রে অপারেশন ছাড়াই সারানো যায়।
প্রতিকার:
-
তথ্য যাচাই করে চিকিৎসা নিন
-
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভ্রান্ত তথ্য গ্রহণ করবেন না
-
লাইফস্টাইল বদলান—এটাই প্রধান চিকিৎসা
FAQs (সচরাচর জিজ্ঞাসা)
প্রশ্ন ১: পাইলস কি ছোঁয়াচে?
উত্তর: না, এটি সংক্রামক নয়। এটি হজমের সমস্যা ও শারীরিক অভ্যাসের কারণে হয়।
প্রশ্ন ২: কতদিনে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যায়?
উত্তর: রোগের ধরন ও যত্নের উপর নির্ভর করে। হালকা পাইলস ৪-৬ সপ্তাহে ভালো হয়, তবে অভ্যাস না পাল্টালে পুনরায় হতে পারে।
প্রশ্ন ৩: পাইলসের মলম কোনটি সবচেয়ে ভালো?
উত্তর: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী Preparation H, Pilex, বা Proctosedyl ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্ন ৪: নারীদের মধ্যে পাইলস কি বেশি হয়?
উত্তর: গর্ভাবস্থা ও হরমোনজনিত কারণে অনেক নারীর মধ্যেই পাইলস দেখা দেয়।
প্রশ্ন ৫: পাইলস থেকে মুক্তির জন্য কোন দোয়া পড়া উত্তম?
উত্তর: “আসআলুল্লাহাল আযিম…” সহ সূরা আর-রাহমান ও ফাতিহা নিয়মিত পড়লে মানসিক প্রশান্তি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
প্রশ্ন ৬: অপারেশন করলে কি পুনরায় পাইলস হতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, যদি আগের জীবনযাত্রায় ফিরে যান তবে আবারও হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
উপসংহার: মুক্তির চাবিকাঠি আপনার হাতেই
আজ আপনি যেটাকে সমস্যা ভাবছেন, আগামীকাল সেটাই আপনার সফলতা হতে পারে—যদি আপনি সময়মতো পদক্ষেপ নেন। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় বলে কোনও যাদুমন্ত্র নেই, কিন্তু আছে কিছু অভ্যাস, কিছু ধৈর্য এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য। আপনি যদি খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম, ঘুম ও মানসিক প্রস্তুতির দিকে খেয়াল রাখেন, তাহলে অপারেশন ছাড়াই সুস্থ জীবন পেতে পারেন।
“যত্ন করুন শরীরের, সেটা আপনাকে প্রতিদিন সেবা দেয়।”