লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ

Spread the love

লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ হলেও সংক্ষেপে বলতে গেলে, এর জন্য প্রথম দুইটি সংক্ষেপে বলা যায় এমন একটি উক্তি হল – লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে চান? আজকে আমরা Liver Cancer Lokkhon এই বিষয়ে জানবো। 

লিভার ক্যান্সার একটি মানসম্পন্ন রোগ যা লিভারে উৎপন্ন হয়। এটি সক্রিয় এবং মারাত্মক রোগ হতে পারে এবং প্রাথমিক অবস্থায় সাধারণত লক্ষণহীন থাকে। তবে, লিভার ক্যান্সারের বিভিন্ন লক্ষণ যেমন ব্যাথা বা ব্যাধি, নিয়ন্ত্রণহীনতা, ওজন কমে যাওয়া, শরীরের পানিপূর্ণতা বা রঙ পরিবর্তন ইত্যাদি দেখা দেওয়া যায়। এই ব্লগ পোস্টে আমরা লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক সংকেত

লিভার ক্যান্সার হলো একটি জ্বরবহুল এবং ধীরগতি সম্পন্ন রোগ। এই রোগে লিভারের কোষসমূহ অস্বাভাবিক হয়ে যায় এবং আদ্যতা পায় উচ্চ মাত্রার জ্বর, অস্বস্তি এবং অল্প কিছু অসুস্থতা। এছাড়াও লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক সংকেতগুলি হলো ওজন হ্রাস এবং অত্যধিক ক্লান্তি।

ওজন হ্রাস

লিভার ক্যান্সারের একটি প্রাথমিক সংকেত হলো ওজন হ্রাস। এটি অস্বাভাবিক ওজন কমানোর কারণ হতে পারে এবং যদি আপনি খুব দ্রুত ওজন কমানো থাকেন তবে আপনাকে নিকটস্থ চিকিত্সকের সাথে আলোচনা করা উচিত।

অত্যধিক ক্লান্তি

অত্যধিক ক্লান্তি লিভার ক্যান্সারের আরেকটি প্রাথমিক সংকেত। লিভার ক্যান্সারের রোগী অসুস্থ হয়ে থাকেন এবং সাধারণত চিকিত্সার দ্বারা তাদের সামান্য কাজ করা উচিত। যদি আপনি অত্যধিক ক্লান্তি অনুভব করেন তবে নিকটস্থ চিকিত্সকের সাথে আলোচনা করা উচিত।

লিভার ক্যান্সার লক্ষণ

Credit: www.youtube.com

পেটে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া

লিভার ক্যান্সারে পেটে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া হল মূল লক্ষণ। পেটের উপরিভাগে ব্যথা ও পেট ফুলে যাওয়া হল সাধারণ উপকারণ।

ডান পাশের উপরিভাগে ব্যথা

ডান পাশের উপরিভাগে ব্যথা হল সাধারণ লক্ষণ, যা লিভার ক্যান্সারের সূচক হতে পারে।

পেট ফুলে যাওয়া

পেট ফুলে যাওয়া এবং পেটে ব্যথা অনুভব করা লিভার ক্যান্সারের মূল লক্ষণ।

ত্বক এবং চোখের হলুদাভ

লিভার ক্যান্সার হলুদাভ বিষয়টি অনেকেরই অপরিচিত। এটি একটি মারাত্মক রোগ যা লিভারের কোষকে আক্রান্ত করে এবং জীবনযাপনের সামান্য সময়ে এটি সন্ধান করা হয় না। লিভার ক্যান্সারের একটি সাধারণ লক্ষণ হলুদাভ বা জন্ডিস। ত্বক এবং চোখের হলুদাভ হলুদ হওয়া একটি মুখ্য লক্ষণ।

জন্ডিসের লক্ষণ

লিভার ক্যান্সারের একটি সাধারণ লক্ষণ হলুদাভ বা জন্ডিস। জন্ডিস হলুদাভ একটি রোগ যা লিভারের সমস্ত কাজের জন্য প্রধান মূল হলুদত্ত্বের প্রয়োজনীয় যোগাযোগ সরবরাহ করে। এটি লিভারের অক্সিজেনের সংকলনের কারণে হলুদাভ হয়।

জন্ডিসের বিভিন্ন লক্ষণ মধ্যে চোখের সাদা অংশ হলুদ হওয়া একটি সাধারণ লক্ষণ। চোখের হলুদাভ হওয়া লিভার ক্যান্সারের মূল লক্ষণগুলির মধ্যে একটি। এটি ত্বকের এবং চোখের সাদা অংশটি হলুদ করে দেয়।

খাদ্য অরুচি এবং বমি বমি ভাব

লিভার ক্যান্সারের একটি মূল লক্ষণ হল খাদ্যের অনিচ্ছা এবং অবশ্যই বমি বমি ভাব। এই লক্ষণগুলি অসুস্থ লিভারের কারণে হতে পারে এবং লিভার ক্যান্সার বা অন্য কোনও গভীর সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।

খাবারে অনিচ্ছা

লিভার ক্যান্সারের রোগীরা খাবারে অনিচ্ছা অনুভব করতে পারে, যা তাদের খাদ্যের রুচি কমাতে পারে। এটি তাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবের চিহ্ন হতে পারে এবং তাদের শরীরে প্রবল অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।

বারবার বমি হওয়া

লিভার ক্যান্সার রোগীরা বারবার বমি হওয়া অনুভব করতে পারে, যা তাদের জীবনযাপনের গুণগত প্রভাব ফেলতে পারে। এটি তাদের সঠিক পুষ্টিগুলি গ্রহণের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং তাদের জীবনযাপনে ব্যবহৃত খাবার থেকে আত্মবিশ্বাসের অভাব তৈরি করতে পারে।

লিভার ক্যান্সার এবংপরিপাক তন্ত্রের সমস্যা

লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা থাকতে পারে না। কিন্তু লিভার ক্যান্সারের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা।

অস্বাভাবিক মল

লোহিত বা হলুদ বর্ণের মল বা মলে রক্ত অথবা পুঁটির বস্ত্র পাওয়া যায়।

অম্লতা এবং পেট ফাঁপা

অম্লতা, পেটে স্বাদ না থাকা এবং পেট ফাঁপা হলে এটি লিভার ক্যান্সার এর লক্ষণ হতে পারে।

অস্বাভাবিক রক্তপাত

লিভার ক্যান্সারে অস্বাভাবিক রক্তপাত হলে লাল রঙের মুখ, অস্বস্তি, পেটে তীব্র ব্যাথা ও অতিরিক্ত ক্ষুধা হতে পারে। রক্তপাতের সাথে অতিরিক্ত ক্ষয় ও অনিয়মিত পিৎচিল পাওয়া যেতে পারে।

সহজে ক্ষত হওয়া

লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হলো অস্বাভাবিক রক্তপাত। এটি হতে পারে যখন ক্ষত অস্বাভাবিকভাবে সহজে হয় এবং এটি ক্ষতের মাধ্যমে রক্ত বের হয়।

রক্তপাত বন্ধ না হওয়া

অন্যান্য রোগের মতো, লিভার ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রক্তপাত বন্ধ হয় না। এটি অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে এবং তা সাধারণভাবে বন্ধ নয়।

শরীরে পানি জমে যাওয়া

লিভার ক্যান্সার লক্ষণ হতে পারে ‘শরীরে পানি জমে যাওয়া’, পেটে স্বাভাবিক অবস্থায় খাদ্য না পাচা, পেটে তীব্র ব্যাথা বা স্যান্ড হ্রাস।

পায়ে এবং পা ফুলে যাওয়া

পায়ে এবং পা ফুলে যাওয়া হল লিভার ক্যান্সারের একটি গুরুতর লক্ষণ।

লক্ষণগুলি হল:

  • পা ও পায়ে ত্বকের পানির জমা
  • পায়ে ব্যথা এবং সুস্থ থাকতে অসাধারণ অবস্থা

পেটে পানি জমা

লিভার ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ হল পেটে পানির জমা।

এই লক্ষণের কিছু উদাহরণ হল:

  1. পেটে সুস্থ অনুভূতি
  2. পেটে ব্যথা এবং অনিয়মিত পায়খানা
লিভার ক্যান্সার লক্ষণ

Credit: www.jagonews24.com

লিভার ক্যান্সারে অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস

লিভার ক্যান্সারে অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস হতে পারে। এটির লক্ষণ হলো পেটে স্থূলতা, প্রস্রাবে রক্ত অথবা পেটে ব্যাথা। প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের।

অনাকাঙ্খিত ওজন হ্রাস

লিভার ক্যান্সারে অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস হতে পারে। এটা একটি গুরুতর লক্ষণ যা উল্লেখযোগ্য হতে পারে।

দ্রুত ওজন বৃদ্ধি

লিভার ক্যান্সারে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা চিকিৎসা বা পরামর্শ ছাড়া থাকলে গম্ভীর সমস্যা হতে পারে।

Frequently Asked Questions

লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি?

লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো হলো: পেটে ব্যাথা, অস্বস্তি, নিউনিয়া বা বমি, ওজন ও চাপ কমে যাওয়া, চুলকানি, চামড়ার রঙ ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা পরিবর্তন।

লিভারের সমস্যা হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়?

লিভারের সমস্যার লক্ষণ হলো পেটে ব্যাথা, ত্বকের পীড়া, পাতলা পা, প্রস্রাবে পরিবর্তন, প্রস্রাবে রঙের পরিবর্তন।

লিভার ভালো রাখার জন্য কি কি খাওয়া উচিত?

লিভার ভালো রাখতে খাওয়ার জন্য প্রধানতঃ স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। মধু, গোলাপজল, লবণ, খাবারের তেলের পরিমাণ কম রাখতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। আর খাবারে সবজি, ফল, প্রোটিন যুক্ত খাদ্য সমূহ সম্পূর্ণ করতে হবে। এছাড়াও বিরত থাকতে হবে বিরুদ্ধ খাদ্য পদার্থ গ্রহণে।

লিভার খারাপ হলে কি করে বুঝবো?

লিভার খারাপ হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং পরামর্শ নিন। নিয়মিত নিয়মিত ঔষধ খাওয়া, পরিশ্রম করা এবং সুস্থ খাবার খাওয়া উচিত।

Conclusion

লিভার ক্যান্সার একটি বেশ সাধারণ রোগ নয়, তবে এর লক্ষণগুলি সাধারণতঃ মানুষের কাছে অজানা থাকে। এই রোগের মূল লক্ষণগুলি হলো বমিকর্ম, চাপ বা ব্যথা লাগা, রক্তচাপের উন্নতি, প্রস্রাবে রঙের পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত ক্ষয় ও দুর্বলতা। এই সমস্যা নির্ণয় করে মূল্যায়ন করার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। আপনার স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও নিয়ন্ত্রণ করতে সময় দিন এবং এই রোগটি প্রতিরোধ করতে উচিত এমনভাবে আপনার স্বাস্থ্যকে সংরক্ষণ করুন।

 


Spread the love

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *