কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
Last updated on February 5th, 2023 at 07:56 am
কিডনি রোগ সব মানুষের জন্য অত্যন্ত জটিল একটি রোগ। কিডনি রোগ আস্তে আস্তে রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এই পোস্ট থেকে আমরা কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানবো। তাই আমাদের সবাইকে কিডনি রোগ সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে এবং কি কি উপায়ে এই রোগ থেকে ভালো থাকা যায় সেই ব্যাপারে আরো বেশি সতেচন হতে হবে। আজকে আমরা কিডনি রোগের লক্ষণ, কিডনি রোগের খাবার এবং কিডনি রোগীদের জন্য কিছু উপদেশ নিয়ে আলোচনা করবো।
Table of Contents
কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ
• ক্ষুধামন্দা অস্বস্থি
• নাভির দুপাশের পিছনে ব্যাথা
• প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়া
• রক্ত চাপ বৃদ্ধি
• শ্বাসকষ্ট
• বমিবমি ভাব
• প্রসাব কমে যাওয়া /বন্ধ হয়ে যাওয়া
• শরীর ফুলে যাওয়া
• রক্ত শুন্যতা
• শারীরিক দুর্বলতা
• খিঁচুনি বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
কিডনি রোগীদের জন্য উপদেশ
• উচ্চ রক্ত ছাপ নিয়ন্তণে রাখুন
• ডায়াবেটিস নিয়ন্তণে রাখুন
• চর্বি জাতীয় খাবার ত্যাগ করুন
• ওজন নিয়ন্তণে রাখুন
• ধূমপান ত্যাগ করুন
• নিয়মিত হাঁটুন /ব্যায়াম করুন
• দুঃচিন্তা মুক্ত থাকুন
কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও মোটা রোগীদের জন্য উপদেশ
Best Effective Advice For Kidney Patients
• উচ্চ রক্ত ছাপ নিয়ন্তণে রাখুন
• ডায়াবেটিস নিয়ন্তণে রাখুন
• চর্বি জাতীয় খাবার ত্যাগ করুন
• ওজন নিয়ন্তণে রাখুন
• ধূমপান ত্যাগ করুন
• নিয়মিত হাঁটুন /ব্যায়াম করুন
• দুঃচিন্তা মুক্ত থাকুন
• সাদা, জর্দা, পান, তামাক পরিহার করুন
• ভাত আলু রুটি ও মুড়ি সহ অন্যান্য শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য কম খাবেন
• প্রচুর শাক সবজি, টক মিষ্টি ফল, ছোট মাছ ও ইলিশ সহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ বেশি খাবেন
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি রোগীর খাদ্য তালিকা
১. প্রোটিন / আমিষ, পটাসিয়াম, ফসফেট ও পিউরিন যুক্ত খাবার নিয়ন্তণ করতে হবে।
২. লবন / সোডিয়াম কম খেতে হবে।
৩. বেশি পটাসিয়াম যুক্ত এবং বেশি ফসফরাস যুক্ত সবজি আধা ঘন্টা সিদ্ধ করে পানি ফেলে রান্না করতে হবে।
৪. ধূমপান, জর্দা, এলকোহল পরিহার করতে হবে।
৫. পানি নিয়মিত খেতে হবে। যা প্রসাবের পরিমাপের উপর নির্ভর করবে।
একজন কিডনি রোগীকে নিচের চার্ট অনুযায়ী খাবার দিতে হবে
সকালে নাস্তা ( সকাল ৮.০০ টা – ৯.০০ টা )
আটার রুটি ২-৩ টি
কুসুম ছাড়া ডিম ১ টি
সবজি – পরিমান মতো
চা অথবা দুধ ১ কাপ
ডায়ালাইসিস রোগী হলে কুসুম ছাড়া ডিম ২ টি
নাস্তা ( বেলা ১১.০০ টা – ১১.৩০ টা)
টোস্ট বিস্কুট ২ টি সুজি /নুডলস /সেমাই
ফল আপেল, পেয়ারা, মালটা পাকা পেঁপে, নাসপাতি, ৫০-১০০ গ্রাম
দুপুরের খাবার ( দুপুর ১-২ টা)
ভাত ৩/৪ কাপ
৩*২*১ ইঞ্চি সাইজের ১ টুকরা মাছ /মুরগির মাংস
সবজি পরিমাণ মতো
ডায়ালাইসিস রোগী হলে মাছ / মাংস ২ টুকরা
বিকেলের নাস্তা (বিকেল ৫.৩০ টা – ৬.৩০ টা)
টোস্ট বিস্কুট ২ টি / সুজি / নুডলস /সেমাই
দুধ ১ কাপ সর ছাড়া
চা ১ কাপ
রাতের খাবার ( রাত ৯.৩০ টা – ১০ টা)
ভাত ৩ কাপ অথবা রুটি ২-৩ টি
৩*২*১ ইঞ্চি সাইজের ১ টুকরা মাছ / মুরগির মাংস
সবজি পরিমাণমতো
ডায়ালাইসিস রোগী হলে মাছ / মাংস ২ টুকরা
পটাসিয়াম, ফসফেট ও পিউরিনযুক্ত খাবারের তালিকা
১. কম পটাসিয়াম যুক্ত সবজি যেমন লাউ, মিষ্টি কুমড়া,চিচিঙ্গা, মুলা, শশা, শিম (বিচি ছাড়া )
২. বেশি পটাসিয়াম যুক্ত সবজি সিদ্ধ করে পানি ফেলে রান্না করতে হবে। যেমন কাঁচা কলা, কাঁচা পেপে, গাজর, ডাটা শাক, পুই শাক, সজনে, কলার মোচা, টমেটো ও করলা।
৩. কম পটাসিয়াম যুক্ত ফল যেমন আপেল, পেয়ারা, পাকা পেপে, নাসপাতি, জারুল, বেল, আনারস খেতে পারবেন।
৪. বেশি পটাসিয়াম যুক্ত ফল আম, জাম, লিচু, আনার, কলা, আমড়া, কামরাঙ্গা, আমলকি, ডাবের পানি, নারিকেল, কমলা, আংঙ্গুর, কাঁঠাল, বরই, লেবু, ইত্যাদি খাবেন না।
৫. কম পিউরিন যুক্ত খাবার যেমন চিনি, গুড়, মধু, ডিমের সাদা অংশ, তেল, চাল, পাউরুটি, আটা, সুজি, সাগু খেতে পারবেন।
৬. বেশি ফসফেট যুক্ত খাবার যেমন দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার, পনির, দানা, ফিরনি, সন্দেশ, দই, মিষ্টি, আইসক্রিম খাবেন না।
সর্বোপরি একজন কিডনি রোগীকে অবশ্যই একজন ভালো কিডনি ডাক্তার এর অধীনে থেকে ভালো মতো ওষুধ এবং চিকিৎসা সেবা নিতে হবে।