Close Menu
    Doctor Guide Online

      Subscribe to Updates

      Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.

      What's Hot

      ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট: সহজ গাইড

      September 12, 2025

      ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ডায়েট চার্ট: সহজ নিয়ম

      September 12, 2025

      ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চার্ট: স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ান

      September 12, 2025
      Facebook X (Twitter) Instagram
      Doctor Guide OnlineDoctor Guide Online
      Facebook X (Twitter) Instagram
      PINTEREST
      • Beauty Care
      • Lifestyle Tips
      • Natural Remedies
      • Women’s Health
      • Digestive Health
      Doctor Guide Online
      Home»Health Care Tips»ত্বকের স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায়
      Health Care Tips

      ত্বকের স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায়

      DoctorguideonlineBy DoctorguideonlineSeptember 12, 2025No Comments12 Mins Read
      Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Telegram Email
      Share
      Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

      ত্বকের স্ক্যাবিস দূর করার জন্য কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা আপনি বাড়িতে বসেই চেষ্টা করতে পারেন। এই উপায়গুলো সাধারণত নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।

      Table of Contents

        • গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (Key Takeaways)
      • স্ক্যাবিস কী এবং কেন এটি হয়?
      • স্ক্যাবিসের সাধারণ লক্ষণ
      • স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায়
        • ১. নিম (Neem) ব্যবহার
          • নিম পাতা ও তেলের ব্যবহার:
        • ২. টি ট্রি অয়েল (Tea Tree Oil)
          • ব্যবহারের পদ্ধতি:
        • ৩. সাবান এবং জল (Soap and Water)
          • যত্ন নেওয়ার উপায়:
        • ৪. কার্বলিক অ্যাসিড (Carbolic Acid) বা ফিনাইল (Phenyl)
          • ব্যবহারের নিয়ম:
        • ৫. ল্যাভেন্ডার অয়েল (Lavender Oil)
          • ব্যবহারের পদ্ধতি:
        • ৬. সরিষার তেল এবং নিম (Mustard Oil and Neem)
        • ৭. রসুন (Garlic)
          • ব্যবহারের পদ্ধতি:
        • ৮. হলুদ (Turmeric)
          • ব্যবহারের পদ্ধতি:
        • ৯. কর্পূর (Camphor)
          • ব্যবহারের পদ্ধতি:
      • স্ক্যাবিস চিকিৎসার সহায়ক পদক্ষেপ
      • স্ক্যাবিসের জন্য একটি তুলনামূলক সারণী: ঘরোয়া বনাম চিকিৎসাগত উপায়
      • স্ক্যাবিস কি নিজে নিজে সেরে যায়?
      • খাবার থেকে স্ক্যাবিস কি সারে?
      • বিশেষ ক্ষেত্রে স্ক্যাবিস
      • কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন?
      • প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
      • উপসংহার

      গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (Key Takeaways)

      • প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে স্ক্যাবিস নিয়ন্ত্রণ করুন।
      • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অপরিহার্য।
      • ভেষজ তেল ত্বকের চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
      • নিয়মিত আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখুন।
      • চিকিৎসকের পরামর্শ নিন যদি ঘরোয়া উপায়ে কাজ না হয়।

      স্ক্যাবিস কী এবং কেন এটি হয়?

      স্ক্যাবিস (Scabies) একটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে চর্মরোগ, যা সারকোপটিস স্ক্যাবি (Sarcoptes scabiei) নামক এক প্রকার মাইট বা উকুন দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই ক্ষুদ্র পরজীবীগুলো ত্বকের নিচে গর্ত করে ডিম পাড়ে এবং বংশবৃদ্ধি করে। এর ফলে ত্বকে তীব্র চুলকানি হয়, বিশেষ করে রাতে এই চুলকানি বেড়ে যায়। গরমকালে বা আর্দ্র আবহাওয়ায় স্ক্যাবিসের প্রকোপ বেশি দেখা যায়, যা বাংলাদেশ ও এর আশেপাশের অঞ্চলে বেশ পরিচিত একটি সমস্যা।

      অনেকেই মনে করেন যে অপরিষ্কার পরিবেশের কারণে স্ক্যাবিস হয়, তবে এটি ভুল ধারণা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিরাও স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হতে পারেন। সরাসরি সংস্পর্শে, যেমন – হাত মেলানো, আলিঙ্গন করা বা একই কাপড়, বিছানা বা তোয়ালে ব্যবহারের মাধ্যমে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে স্কুল, হোস্টেল বা জনবহুল স্থানে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। স্ক্যাবিসের লক্ষণগুলো সাধারণত খুবই বিরক্তিকর এবং এটি আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

      তবে আশার কথা হলো, স্ক্যাবিস সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায়ও এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক হতে পারে। এই প্রবন্ধে আমরা স্ক্যাবিস দূর করার কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনাকে এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে অনেকটাই আরাম দিতে পারে।

      স্ক্যাবিসের সাধারণ লক্ষণ

      স্ক্যাবিসের লক্ষণগুলো সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর দেখা যেতে পারে। তবে আপনি যদি আগে কখনো স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে লক্ষণগুলি দ্রুত প্রকাশ পেতে পারে। প্রধান লক্ষণগুলো হলো:

      • তীব্র চুলকানি, যা সাধারণত রাতে বেশি হয়।
      • ত্বকের ওপর ছোট ছোট লাল ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ দেখা দেওয়া।
      • ফুসকুড়ির সাথে ছোট ছোট আঁকাবাঁকা রেখা বা “মাইট ট্র্যাক” দেখা যেতে পারে, যা মাইটগুলোর ত্বকের নিচে চলার পথ নির্দেশ করে।
      • অঙ্গুলি, কব্জি, কনুই, বগল, কোমর ও যৌনাঙ্গের আশেপাশে এই ধরনের ফুসকুড়ি বেশি দেখা যায়।
      • ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মাথা, ঘাড়, মুখ এবং হাত-পায়েও ফুসকুড়ি হতে পারে।

      এই লক্ষণগুলো দেখলে ভয় না পেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সঠিক পরিচর্যা ও ঘরোয়া উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

      স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায়

      যদিও স্ক্যাবিসের জন্য ডাক্তারী চিকিৎসা সবচেয়ে কার্যকর, কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যা চুলকানি কমাতে এবং মাইটের উপদ্রব কমাতে সাহায্য করতে পারে। মনে রাখবেন, এই পদ্ধতিগুলো মূল চিকিৎসার বিকল্প নয়, তবে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

      ১. নিম (Neem) ব্যবহার

      আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নিমকে এক মহৌষধ হিসেবে গণ্য করা হয়। নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল গুণাবলী স্ক্যাবিসের মাইট দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। নিমে থাকা অ্যাজাডিরাক্টিন (Azadirachtin) নামক উপাদান মাইটদের বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এবং ডিম পাড়তে দেয় না।

      নিম পাতা ও তেলের ব্যবহার:

      • নিম পাতার পেষ্ট: তাজা নিম পাতা বেটে বা ব্লেন্ড করে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ৩০-৪৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুইবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
      • নিম তেল: খাঁটি নিম তেল একটি তুলোর সাহায্যে সরাসরি আক্রান্ত ত্বকে লাগান। এটি চুলকানি কমাতে এবং মাইট মেরে ফেলতে সাহায্য করবে। তবে, নিম তেল সরাসরি ত্বকে লাগানোর আগে অল্প জায়গায় লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন, কারণ কারো কারো ক্ষেত্রে এটি অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
      • নিম জল: নিম পাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে আক্রান্ত স্থান ধোয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
      READ ALSO  দাতের ব্যাথায় করনীয় কি: শ্রেষ্ঠ সমাধান

      নিম ব্যবহার স্ক্যাবিসের চুলকানি এবং প্রদাহ কমাতে খুব সহায়ক। এটি ত্বককে শীতলও করে তোলে।

      ২. টি ট্রি অয়েল (Tea Tree Oil)

      টি ট্রি অয়েল একটি শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এতে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা স্ক্যাবিসের মাইট মারতে সাহায্য করতে পারে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, টি ট্রি অয়েল মাইটদের মেরে ফেলতে এবং তাদের সংখ্যা কমাতে বেশ কার্যকর।

      ব্যবহারের পদ্ধতি:

      • তেল মিশিয়ে ব্যবহার: টি ট্রি অয়েল সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এটি বেশ শক্তিশালী। সবসময় এটিকে একটি ক্যারিয়ার অয়েল যেমন – নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। সাধারণত, প্রতি ১ চা চামচ ক্যারিয়ার অয়েলের সাথে ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন।
      • আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ: এই মিশ্রণটি একটি তুলোর সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে রাখুন এবং সকালে সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

      Pro Tip: টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার ত্বক এর প্রতি সংবেদনশীল নয়। অল্প একটু জায়গায় লাগিয়ে দেখতে পারেন।

      ৩. সাবান এবং জল (Soap and Water)

      স্ক্যাবিস নিরাময়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। নিয়মিত সাবান এবং গরম জল দিয়ে আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করলে মাইট এবং ডিম ধুয়ে যেতে পারে।

      যত্ন নেওয়ার উপায়:

      • গরম জল ও সাবান: প্রতিদিন অন্তত দুইবার আক্রান্ত স্থান উন্নত মানের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান এবং গরম জল দিয়ে আলতোভাবে পরিষ্কার করুন।
      • পরিষ্কার কাপড়: আক্রান্ত ব্যক্তি যে কাপড়, বিছানার চাদর বা তোয়ালে ব্যবহার করছেন, তা যেন নিয়মিত গরম জলে ধুয়ে এবং রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয়।
      • আশেপাশের পরিবেশ: ঘর ও আসবাবপত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

      নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে স্ক্যাবিস ছড়ানো প্রতিরোধ করা যায় এবং নিরাময় প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।

      ৪. কার্বলিক অ্যাসিড (Carbolic Acid) বা ফিনাইল (Phenyl)

      যদিও এটি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা নিরাপদ নয়, তবে কার্বলিক অ্যাসিড বা ফিনাইলযুক্ত ক্লিনিং সলিউশন ঘর এবং আসবাবপত্র জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্যবহার করলে তা স্ক্যাবিসের মাইট মারতে সাহায্য করে।

      ব্যবহারের নিয়ম:

      • ঘর পরিষ্কার: একটি বালতিতে জল নিয়ে তাতে পরিমাণমতো ফিনাইল মিশিয়ে ঘরের মেঝে, টয়লেট এবং যেসব জায়গায় আক্রান্ত রোগী বেশি থাকেন, সেগুলো ভালোভাবে মুছে নিন।
      • কাপড় ধোয়া: কাপড় ধোয়ার সময়েও জলে সামান্য ফিনাইল মিশিয়ে নিলে তা মাইট মারতে সহায়ক হতে পারে।
      • সাবধানতা: ফিনাইল বা কার্বলিক অ্যাসিড সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না। এটি শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করলে ক্ষতি হতে পারে, তাই ব্যবহারের সময় পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।

      ৫. ল্যাভেন্ডার অয়েল (Lavender Oil)

      ল্যাভেন্ডার অয়েল তার শান্তিদায়ক গুণের জন্য পরিচিত। এটি ত্বকের জ্বালা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ল্যাভেন্ডার অয়েল স্ক্যাবিসের মাইট মারতেও কিছুটা কার্যকর।

      ব্যবহারের পদ্ধতি:

      • মিশ্রণ তৈরি: টি ট্রি অয়েলের মতোই, ল্যাভেন্ডার অয়েলকেও ক্যারিয়ার অয়েল (যেমন – নারিকেল তেল) এর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো। প্রতি টেবিল চামচ ক্যারিয়ার অয়েলের সাথে ২-৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিন।
      • প্রয়োগ: এই মিশ্রণটি আক্রান্ত স্থানে দিনে দুইবার লাগাতে পারেন।

      এটি ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং রাতে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে, যা স্ক্যাবিসের কারণে হওয়া অস্বস্তি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ।

      ৬. সরিষার তেল এবং নিম (Mustard Oil and Neem)

      সরিষার তেল এবং নিম একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা স্ক্যাবিসের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিকার হতে পারে। সরিষার তেলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং নিম তো আছেই!

      • মিশ্রণ তৈরি: সমপরিমাণ নিম পাতা সেদ্ধ করে সেই জল ও সরিষার তেল একসাথে মিশিয়ে নিন।
      • প্রয়োগ: এই মিশ্রণটি দিনে অন্তত একবার আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি চুলকানি কমাবে এবং মাইট মারতে সাহায্য করবে।
      READ ALSO  মাথা ব্যথার দোয়া বাংলা: দ্রুত উপশম

      ৭. রসুন (Garlic)

      রসুনে থাকা অ্যালিসিন (Allicin) নামক উপাদান স্ক্যাবিসের মাইট মারতে বেশ কার্যকর। কাঁচা রসুনে এই উপাদানটি বেশি পরিমাণে থাকে।

      ব্যবহারের পদ্ধতি:

      • কাঁচা রসুন: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২-৩ কোয়া কাঁচা রসুন খান।
      • রসুনের তেল: রসুনের তেল (Garlic Oil) ব্যবহার করতে পারেন। এটি টি ট্রি অয়েলের মতই ক্যারিয়ার অয়েলের সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।

      তবে, কাঁচা রসুন খেলে অনেকের পেটে অস্বস্তি হতে পারে, তাই পরিমাণে কম দিয়ে শুরু করা ভালো।

      ৮. হলুদ (Turmeric)

      হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণাবলী স্ক্যাবিসের কারণে হওয়া ত্বকের জ্বালা ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।

      ব্যবহারের পদ্ধতি:

      • হলুদ পেষ্ট: হলুদের গুঁড়োর সাথে অল্প জল বা নিম পাতা বাটা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
      • খাবার: হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

      ৯. কর্পূর (Camphor)

      কর্পূর স্ক্যাবিসের চুলকানি কমাতে এবং মাইট মারতে সহায়ক হতে পারে। তবে এটি সাবধানে ব্যবহার করতে হবে।

      ব্যবহারের পদ্ধতি:

      • কর্পূর ও নিম তেল: অল্প পরিমাণে কর্পূর গুঁড়ো নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।
      • সাবধানতা: কর্পূর সরাসরি ত্বকে বা মুখে লাগাবেন না। এটি শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবে এবং সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

      স্ক্যাবিস চিকিৎসার সহায়ক পদক্ষেপ

      ঘরোয়া উপায়ের পাশাপাশি কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে স্ক্যাবিস থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়:

      • কাপড় ও বিছানার চাদর: আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সমস্ত কাপড়, তোয়ালে, বিছানার চাদর ইত্যাদি গরম জলে (কমপক্ষে ৬০°C) ধুয়ে ফেলুন এবং রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। যা ধোয়া সম্ভব নয়, তা অন্তত ৭ দিন একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে মুখ বন্ধ করে রেখে দিন। মাইট গরম সহ্য করতে পারে না এবং অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়।
      • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করুন, বিশেষ করে যেখানে আপনি বসেন বা ঘুমান।
      • ত্বকের যত্ন: আক্রান্ত স্থান চুলকাবেন না, কারণ এতে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।
      • ব্যক্তিগত জিনিসপত্র: নিজের তোয়ালে, কাপড় বা বিছানার চাদর অন্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না।

      স্ক্যাবিসের জন্য একটি তুলনামূলক সারণী: ঘরোয়া বনাম চিকিৎসাগত উপায়

      স্ক্যাবিস নিরাময়ের জন্য ঘরোয়া উপায় এবং চিকিৎসাগত উপায়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিচে একটি সারণীতে তা তুলে ধরা হলো:

      বিষয়ঘরোয়া উপায় (Home Remedies)চিকিৎসাগত উপায় (Medical Treatment)
      কার্যকারিতাচুলকানি কমাতে ও মাইট উপদ্রব কমাতে সহায়ক। দীর্ঘমেয়াদী নিরাময়ের হার কম।সরাসরি মাইট এবং তাদের ডিম মেরে ফেলে। দ্রুত ও নিশ্চিত নিরাময়।
      উপাদানপ্রাকৃতিক উপাদান যেমন – নিম, টি ট্রি অয়েল, রসুন।পারমেথ্রিন (Permethrin), সালফার (Sulphur) যুক্ত ক্রিম ও লোশন, মুখে খাওয়ার ঔষধ।
      প্রয়োগ পদ্ধতিবাহ্যিক ব্যবহার, ত্বকে লাগানো বা সেবন।বিশেষজ্ঞের নির্দেশ অনুযায়ী ত্বকে প্রয়োগ বা মুখে সেবন।
      পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকম, তবে ত্বকের সংবেদনশীলতা বা অ্যালার্জি হতে পারে।কিছু ক্ষেত্রে ত্বকে জ্বালাপোড়া, লালচে ভাব বা অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
      উপলভ্যতাসহজলভ্য এবং কম খরচে করা যায়।ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল হতে পারে।
      জরুরী অবস্থাপ্রাথমিক পর্যায়ে বা হালকা লক্ষণের জন্য।মাঝারি থেকে গুরুতর সংক্রমণের জন্য অপরিহার্য।

      মনে রাখবেন, ঘরোয়া উপায় স্ক্যাবিসের মূল কারণ দূর করার জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। যদি লক্ষণগুলি গুরুতর হয় বা কয়েক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে, তবে অবশ্যই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

      স্ক্যাবিস কি নিজে নিজে সেরে যায়?

      সাধারণত, স্ক্যাবিস নিজে নিজে সেরে যায় না। মাইটগুলো ত্বকের নিচে বাসা বাঁধে এবং ডিম পাড়ে। চিকিৎসা ছাড়া এই মাইটগুলো মরে যায় না। যদি চিকিৎসা না করা হয়, তবে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে এবং অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই, স্ক্যাবিস হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নেওয়া উচিত। ঘরোয়া উপায়গুলো উপসর্গ কমাতে সাহায্য করলেও, মূল কারণ দূর করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

      বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) স্ক্যাবিস এবং অন্যান্য পরজীবীজনিত রোগ প্রতিরোধের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যবিধি এবং সঠিক চিকিৎসার ওপর জোর দেয়। স্ক্যাবিসের ক্ষেত্রে, দ্রুত সনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা সম্প্রদায়িক সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

      খাবার থেকে স্ক্যাবিস কি সারে?

      কিছু খাবার, যেমন – রসুন বা হলুদের ঔষধি গুণ থাকলেও, শুধু খাবার দ্বারা স্ক্যাবিস সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব নয়। এই খাবারগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তবে, স্ক্যাবিসের জন্য দায়ী মাইট মারার জন্য এগুলো পর্যাপ্ত নয়।

      READ ALSO  প্রস্রাবে ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায়

      স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য স্ক্যাবিসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য Body-কে শক্তিশালী করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (যেমন – আমলকী, কমলা) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার (যেমন – শাকসবজি) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে, শুধুমাত্র খাবারের উপর নির্ভর করে স্ক্যাবিসের চিকিৎসা করা উচিত নয়।

      বিশেষ ক্ষেত্রে স্ক্যাবিস

      কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে স্ক্যাবিসের লক্ষণ ভিন্ন হতে পারে এবং এর চিকিৎসাও ভিন্ন হতে পারে:

      • শিশুদের স্ক্যাবিস: ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে স্ক্যাবিসের লক্ষণ আরও গুরুতর হতে পারে। তাদের মাথার ত্বক, ঘাড়, মুখমণ্ডল এমনকি হাতের তালু ও পায়ের পাতাতেও ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ জরুরি।
      • গর্ভবতী মহিলাদের স্ক্যাবিস: গর্ভবতী মহিলারা কিছু ঔষধের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারেন। তাই গর্ভাবস্থায় স্ক্যাবিসের চিকিৎসা করার সময় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
      • কঠিন বা কর্কট স্ক্যাবিস (Crusted Scabies): এটি স্ক্যাবিসের একটি বিরল এবং গুরুতর রূপ, যেখানে ত্বকে পুরু স্তর বা ক্রাস্ট তৈরি হয়। এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে এবং এর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নিবিড় চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

      কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন?

      যদিও ঘরোয়া উপায়গুলো কিছু ক্ষেত্রে আরাম দিতে পারে, তবে কিছু পরিস্থিতিতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য:

      • যদি ঘরোয়া উপায় ব্যবহারের পরেও চুলকানি বা ফুসকুড়ি না কমে।
      • যদি লক্ষণগুলি কয়েক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে।
      • যদি সংক্রমণ শরীরের বড় অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
      • যদি শিশুর বা বয়স্ক কারো স্ক্যাবিস হয়।
      • যদি কর্কট স্ক্যাবিসের মতো গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়।

      ডাক্তার আপনার অবস্থা দেখে সঠিক ঔষধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারবেন। অনেক সময় ডাক্তার পারমেথ্রিন (Permethrin) নামক ক্রিম বা লিন্ডেন লোশন (Lindane Lotion) এর মতো প্রেসক্রিপশন ড্রাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন, যা স্ক্যাবিসের মাইট মারার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

      প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)

      প্রশ্ন ১: স্ক্যাবিস কি ছোঁয়াচে?

      উত্তর: হ্যাঁ, স্ক্যাবিস অত্যন্ত ছোঁয়াচে। এটি সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে, যেমন – হাত মেলানো, আলিঙ্গন করা বা একই বিছানা, কাপড় ব্যবহারের মাধ্যমে ছড়ায়।

      প্রশ্ন ২: ঘরোয়া উপায়ে স্ক্যাবিস পুরোপুরি সারে কি?

      উত্তর: ঘরোয়া উপায়গুলো চুলকানি কমাতে এবং মাইটের উপদ্রব কিছুটা কমাতে সহায়ক হতে পারে, তবে এটি পুরোপুরি নিরাময় নাও করতে পারে। সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

      প্রশ্ন ৩: স্ক্যাবিসের জন্য ব্যবহৃত নিম বা টি ট্রি অয়েল কি নিরাপদ?

      উত্তর: হ্যাঁ, এগুলো সাধারণত নিরাপদ। তবে, সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করার আগে ক্যারিয়ার অয়েলের সাথে মিশিয়ে অল্প অংশে পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো, কারণ কিছু মানুষের অ্যালার্জি হতে পারে।

      প্রশ্ন ৪: স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হলে কতদিন পর আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি?

      উত্তর: সঠিক চিকিৎসা নেওয়ার পর সাধারণত ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যেই সংক্রমণ আর ছড়ায় না। তবে, চুলকানি পুরোপুরি কমতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

      প্রশ্ন ৫: আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা কি আক্রান্ত হতে পারে?

      উত্তর: যেহেতু স্ক্যাবিস ছোঁয়াচে, তাই পরিবারের অন্য সদস্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সকল সদস্যেরই পরীক্ষা করানো উচিত এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

      প্রশ্ন ৬: স্ক্যাবিস কি অন্য কোনো রোগের লক্ষন?

      উত্তর: স্ক্যাবিস নিজে একটি রোগ। তবে এর লক্ষণগুলো (যেমন – ফুসকুড়ি, চুলকানি) একজিমার (Eczema) মতো অন্যান্য চর্মরোগের সাথে গুলিয়ে যেতে পারে। তাই সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা জরুরি।

      উপসংহার

      স্ক্যাবিস একটি বিরক্তিকর রোগ হলেও, সঠিক পরিচর্যা ও সচেতনতার মাধ্যমে এটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ঘরোয়া উপায়গুলো নিঃসন্দেহে প্রাথমিক আরাম দিতে এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। নিম, টি ট্রি অয়েল, সরিষার তেল, রসুন এবং ল্যাভেন্ডার অয়েলের মতো প্রাকৃতিক উপাদানগুলো স্ক্যাবিসের মাইট মারতে এবং চুলকানি কমাতে বেশ কার্যকর।

      তবে, মনে রাখবেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা। যদি ঘরোয়া উপায়েও আপনি স্বস্তি না পান বা লক্ষণগুলো গুরুতর হয়, তবে দেরি না করে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন। আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি!

      ঘরোয়া প্রতিকার চর্মরোগ চুলকানি ত্বকের রোগ প্রাকৃতিক চিকিৎসা ভেষজ তেল স্ক্যাবিস স্ক্যাবিস নিরাময় স্বাস্থ্য টিপস
      Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
      Doctorguideonline

        At Doctorguideonline, we believe that everyone deserves access to reliable information. Our mission is to take better care of their bodies and minds by providing high-quality content on beauty care, digestive health, women’s wellness, natural remedies, lifestyle tips, and general health care advice.

        Related Posts

        ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট: সহজ গাইড

        September 12, 2025

        ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ডায়েট চার্ট: সহজ নিয়ম

        September 12, 2025

        ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চার্ট: স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ান

        September 12, 2025

        ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট

        September 12, 2025

        গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ডায়েট চার্ট

        September 12, 2025

        দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট: কার্যকর উপায়

        September 12, 2025
        Add A Comment
        Leave A Reply Cancel Reply

        Don't Miss
        Health Care Tips

        ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট: সহজ গাইড

        September 12, 2025

        মাত্র কয়েক সপ্তাহে ৫ কেজি ওজন কমানোর জন্য একটি সহজ ডায়েট চার্ট খুঁজছেন? এই পুষ্টিকর…

        ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ডায়েট চার্ট: সহজ নিয়ম

        September 12, 2025

        ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চার্ট: স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ান

        September 12, 2025

        ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট

        September 12, 2025
        Stay In Touch
        • Facebook
        • Twitter
        • Pinterest
        • Instagram
        • YouTube
        • Vimeo

        Subscribe to Updates

        Subscribe to Updates

        Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.

        Top Posts

        ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট: সহজ গাইড

        September 12, 2025

        ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ডায়েট চার্ট: সহজ নিয়ম

        September 12, 2025

        ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চার্ট: স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ান

        September 12, 2025

        ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট

        September 12, 2025
        About Us
        About Us

        At Doctorguideonline, we believe that everyone deserves access to reliable, practical, and easy-to-understand health and wellness information.

        Email Us: contact@doctorguideonline.com

        Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
        • Home
        • About Us
        • Contact Us
        • Privacy Policy
        • Disclaimer
        © 2025 Doctorguideonline.com | Designed by Doctorguideonline.

        Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.