ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ

Spread the love

ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হলেও, মার্কিন ক্যান্সার সোসাইটি উদ্বিগ্ন করে জানাচ্ছে যে এই রোগের কিছু সাধারণ লক্ষণও থাকতে পারে। এরমধ্যে ব্যাথা, শ্বাস নিতে সমস্যা, হাঁচি বা কাশি, হালকা বা অবসাদ অনুভব করা, খাবারের স্বাদ পরিবর্তন, অক্সিজেন সাপ্লাই সমস্যা, নিপুণতার হার কমে যাওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এই লক্ষণগুলি অনুভব করলে নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। সঠিক নির্দেশনা ও উপযুক্ত চিকিৎসা প্রাপ্ত করলে, ফুসফুসের ক্যান্সার সম্পূর্ণরূপে নির্নিমিত হতে পারে। আইয়নি প্রভৃতির মাধ্যমে ফুসফুসের ক্যান্সারের পরীক্ষা ও নিশ্চিতকরণও সম্ভব।

Table of Contents

ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ

ফুসফুসের ক্যান্সার বা ব্রনকাইল ক্যান্সার একটি জটিল রোগ যা সাধারণত স্মৃতিবিশিষ্ট লাঙ্গোট বা হাঁপানির সাথে শুরু হয়। এই রোগটি কমন নয়, তবে এর প্রাথমিক লক্ষণসমূহ বুঝতে সমস্যা হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ কি।

অবিরাম কাশি

ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ হল অবিরাম কাশি। এটি সাধারণত স্মৃতিবিশিষ্ট কাশি নয়, এটি বিরক্তিকর এবং দীর্ঘস্থায়ী থাকতে পারে। ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে শ্বাসকষ্ট এবং অবিরাম কাশি হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি

ফুসফুসের ক্যান্সার এর প্রাথমিক লক্ষণ হল শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানি। শ্বাসকষ্ট হল শ্বাস নেওয়ার সময় অস্বস্তি বা অসুবিধা এবং হাঁপানি হল শ্বাসক্ষত এর সময় বা শ্বাস ফেলার সময় শব্দ উঠানো। এই লক্ষণগুলি সাধারণত স্মৃতিবিশিষ্ট লাঙ্গোট বা হাঁপানির সাথে শুরু হয়, তবে এর কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে।

ওজন হ্রাস ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ওজন হ্রাস ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করে এই ঝুঁকিটি নিরাময় করা সম্ভব।

ওজনের অস্বাভাবিক হ্রাস

ফুসফুসের ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হলো অস্বাভাবিক ওজনের হ্রাস।

প্রতিদিনের স্বাভাবিক খাবারের পরিমাণে খাওয়া করলেও ওজন হ্রাস হলে, এটি সতর্কতা সূচক।

খাদ্যাভ্যাসে অনীহা

অনিয়মিত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত বাজারের প্যাকেজ খাবার কোনো একটি কারণ হতে পারে।

শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি

ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ অনেকই সাধারণ শ্বাসকষ্ট, সাংকেতিক হাঁচি, ব্যাথা এবং কাশ। যদিও এই লক্ষণগুলি অন্যান্য সমস্যার সাথে একই হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি

পেশী দুর্বলতা

ফুসফুসের ক্যান্সারে দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তির পাশাপাশি অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে পেশী দুর্বলতা। এই রোগে ফুসফুসের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও ক্যান্সারের কারণে পেশীর দুর্বলতা হয়। এর ফলে রোগীর শ্বাসক্ষতি এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের অস্বাভাবিকতা বেশি হয়। এই লক্ষণটি রোগের প্রথম অবস্থায় সাধারণত মাঝারি ও উচ্চমান ব্যক্তিতে প্রকাশ পায়। পেশী দুর্বলতার বিশেষ লক্ষণগুলি নিম্নলিখিত একটি তালিকায় দেখা যায়:

  • শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষতিকারক শব্দ
  • অস্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষতিকারক দ্রুতি
  • শ্বাসপ্রশ্বাসের ফাঁকা অনুভূতি
ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ

Credit: www.yashodahospitals.com

কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন

ফুসফুসের ক্যান্সার একটি মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে কঠিন একটি অসুখ, এবং এর লক্ষণ বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ জানা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা যায়। আজকে আমরা কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করব।

রুক্ষ কণ্ঠস্বর

ফুসফুসের ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হল কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন। এটি সাধারণভাবে রুক্ষ কণ্ঠস্বর অনুভব করা যায়। কণ্ঠস্বর ভাঙতে থাকলে, সঠিক চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

কণ্ঠনালীতে প্রদাহ

এই অবস্থায় কণ্ঠে প্রদাহের মতো অনুভব হয়। কণ্ঠে একটি অতিরিক্ত ধ্বনির বা গোঁঠা অনুভব হয় যা শ্বাসকষ্ট ও কণ্ঠের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়।

বুকে ব্যথা ও অস্বস্তি

বুকে ব্যথা ও অস্বস্তি হল ফুসফুসের ক্যান্সারের মৌলিক লক্ষণ, যা অবশ্যই সতর্কতা সাপেক্ষে নেওয়া উচিত। ফুসফুসের ক্যান্সার আসলে অনেক সময় সময় স্বাভাবিক ব্যথা বা অস্বস্তির মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে।

বুকে চাপ অনুভূতি

যদিও বুকে চাপ অনুভূতি আপনার সাধারণ হতে পারে, তবুও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হতে পারে যা ফুসফুসের ক্যান্সার চিহ্নিত করে। এটি দিনের সময় বা কাজের সময় বেশি হতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট বা প্রতিশ্বাস নিতে সময় লাগতে পারে।

নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় ব্যথা

নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় ব্যথা একটি অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ, যা ফুসফুসের ক্যান্সার সূচনা করতে পারে। যদি নিঃশ্বাস নেওয়া সময় ব্যথা অত্যন্ত বা অসহনীয় হয় তবে তা নিশ্চিতভাবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

রক্তক্ষরণের লক্ষণ

রক্তক্ষরণ ফুসফুসের ক্যান্সারের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এটি একটি সমস্যা হতে পারে এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে যদি আপনি এটি বুঝতে পারেন। রক্তক্ষরণের লক্ষণ বুঝতে সাহায্য করতে পারে নিম্নলিখিত উপ-খবরগুলি:

কাশির সময় রক্ত

জীবনযাপনের পরিবর্তে আপনি যদি কাশি করতে না পারেন এবং কাশির সময় রক্ত দেখা দেয়, তবে তা একটি সংকেত হতে পারে যে আপনার ফুসফুসে সমস্যা হতে পারে।

মুখ ও নাক থেকে রক্তপাত

আপনার মুখ বা নাক থেকে অস্বাভাবিক রক্তপাত দেখা দিলে, তা একটি সংকেত হতে পারে যে আপনার ফুসফুসে সমস্যা আছে এবং আপনার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।

অন্যান্য লক্ষণ

ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হলো ক্ষুব্ধ বা সমস্যাজনক কাশি, ব্যাথা বা দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, রক্তবাহী স্ত্রাব, ত্বকের লালচে, ও অবশেষে ওজনের অনিয়ম।

বুকের অংশে ইনফেকশন:

ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যান্য লক্ষণ হলো বুকের অংশে ইনফেকশনের লক্ষণ।

সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণের দীর্ঘস্থায়ীতা:

ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হলে এটি ক্যান্সারের সংকেত হতে পারে।

ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ

Credit: bn.wikipedia.org

লক্ষণ অনুসারে চিকিৎসা ও পরামর্শ

ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণের সাথে সম্পর্কিত চিকিৎসা ও পরামর্শ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। শ্বাসকষ্ট, ছালামুখ বা রক্তবাহী শ্বাসকষ্টের লক্ষণ থাকতে পারে এবং এগুলি উল্লেখযোগ্য হলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

প্রাথমিক চিকিৎসা

ফুসফুসের ক্যান্সার পরীক্ষা করানোর জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার সময়ে ডাক্তারের সাথে সাম্প্রতিক রোগের লক্ষণ শেয়ার করা গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ

ফুসফুসের ক্যান্সার সনাক্ত হলে, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। তারা সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান করতে পারে।

ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ

Credit: www.jagonews24.com

Frequently Asked Questions

ফুসফুস ক্যান্সারের 4 টি লক্ষণ যা আপনার সচেতন হওয়া উচিত?

ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হলো: চুলকানি বা কাশি, শ্বাসকষ্ট, সিনাসবাদ, স্বাভাবিক চেহারা পরিবর্তন। যদি এই লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে তা অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

ফুসফুসের ক্যান্সার কিভাবে নির্ণয় করা হয়?

ফুসফুসের ক্যান্সার নির্ণয় করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে বিপজ্জনক কণিকা নির্ণয়, এক্স-রে স্ক্যান, ব্রনকোস্কপি, বৃষ্টিপাত এবং বিপজ্জনক কণিকার পরীক্ষা রয়েছে। এছাড়াও রোগীর অস্থায়ী প্রতিবেশীদের পরীক্ষা ও প্রতিবেশীদের মধ্যে তাদের শক্তিশালীতা নির্ণয় করার জন্য সম্ভাব্যতম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ গুলো কি কি?

ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ হল: শ্বাসকষ্ট, সাঁতরে গলার দুবে অনুভূতি, শ্বাসফাঁপা, সিনাসচেদ, নিম্ন শ্বাসদাব, রক্তদাব।

সবচেয়ে মারাত্মক ক্যান্সার কোনটি?

সবচেয়ে মারাত্মক ক্যান্সার হলো লিভার ক্যান্সার।

Conclusion

পোস্টটির শেষে এসেছি। ফুসফুসের ক্যান্সার হল একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এটি ধীরে ধীরে বিকাশ হলেও এর লক্ষণগুলি ভুলে যাওয়া অসম্ভব। যদি আপনি সম্ভাব্য লক্ষণ দেখেন, তাহলে তা অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিতে হবে। ভাল পরিচর্যা এবং সঠিক পরামর্শ দেওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই পোস্টটি আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করার সাথে সাথে আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে সাহায্য করবে।

 


Spread the love

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *