প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি

Spread the love

প্রেগন্যান্সির লক্ষণ হলো মাসিক পিরিয়ডের দেরি, মাংসপেশিতে ব্যথা, ব্রেস্টের সুজন, মাথা ব্যাথা এবং মতলাপ্রতি নিবিড় বদল। প্রেগন্যান্সি সম্পর্কিত আরও তথ্য জানতে নিচের প্যারাগ্রাফটি পড়ুন। গর্ভাবস্থা হল মহিলাদের জীবনের একটি অবস্থা যা অনেক সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। গর্ভধারণ ও গর্ভাবস্থার প্রায়শই আগমনের পর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয়।

গর্ভাবস্থার প্রথম লক্ষণ হল মাসিক পিরিয়ডের বিলম্ব। অন্যান্য লক্ষণগুলো হল মাথা ব্যাথা, মতলা, ব্রেস্টে সুজন, মাংসপেশিতে ব্যথা এবং নিবিড় বদল। গর্ভাবস্থার প্রথম চার সপ্তাহে গর্ভের উত্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলির বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও, মাতৃশিশুর উন্নয়নের জন্য গর্ভাবস্থায় হয়ে থাকে আরও কয়েকটি লক্ষণ।

Table of Contents

প্রাথমিক লক্ষণগুলি

যখন কোন মহিলা গর্ভবতী হয়, তখন সে নিজের শরীরে কিছু পরিবর্তন অনুভব করে। এই পরিবর্তনগুলি তাকে জানতে সাহায্য করে যে সে গর্ভবতী হয়েছে। এই প্রথম লক্ষণগুলি সাধারণত মাসিকের অনিয়ম, সকালের অসুস্থতা এবং স্তনের পরিবর্তনে মনিফেস্ট হয়।

মাসিকের অনিয়ম

একটি প্রাথমিক লক্ষণ হল মাসিকের অনিয়ম। এটি হল সময় থেকে আগে বা পরে আসা মাসিকের সমস্যা। এটি আমাদের জানায় যে মহিলার শরীর উপস্থিত হতে শুরু হয়েছে একটি গর্ভধারণ এবং গর্ভবতী হয়েছেন। এটি প্রথম সমস্যা হলেও এটি জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।

সকালের অসুস্থতা

গর্ভবতী মহিলার সামান্য সকালের অসুস্থতা সাধারণত তার পরিবার সদস্যদের জন্য একটি সাধারণ জিনিস। এটি হল সমস্যার সমাধানের একটি উপায় যার মাধ্যমে মহিলা নিজের শরীর এবং শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়ন করতে পারে।

স্তনের পরিবর্তন

গর্ভবতী মহিলার স্তনে পরিবর্তন হয় যা তাকে জানায় যে সে গর্ভবতী হয়েছে। স্তন বা স্তনদ্রব্যের আকার, আকৃতি এবং এর নিচে ব্যথা অনুভব করা হয় যা গর্ভবতী মহিলার শরীরে ঘটে থাকে।

শারীরিক পরিবর্তন

শারীরিক পরিবর্তনের সাথে প্রেগন্যান্সি সম্পর্কে ধারণা আসতে পারে একাধিক লক্ষণ।

ওজন বৃদ্ধি

গর্ভকালে মায়ের ওজন নিয়ন্ত্রণ হতে পারে যথারীতি বৃদ্ধি হয়।

পেটের আকার বৃদ্ধি

হরমোনজনিত পরিবর্তন

হরমোনজনিত পরিবর্তন একটি সাধারণ প্রেগন্যান্সির লক্ষণ, যেমন নিম্নলিখিত: মাংসপেশী বা স্তনের ব্যথা, অতিরিক্ত ক্ষতিকর অনুভূতি, শ্বাসকষ্ট, মিনিয়ার অনুভূতি এবং অতিরিক্ত রক্তচাপ।

মুড সুইং

অতিরিক্ত ক্লান্তি

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন একটি মাত্রা নয়, এটি মায়ের গর্ভাবস্থায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর আরও অতিরিক্ত পুষ্টি প্রয়োজন পায়, যা শিশুর বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে মায়ের খাবারের প্রতি আগ্রহ ও অনুভূতি পরিবর্তন হয়ে উঠে।

বিশেষ খাবারের প্রতি আগ্রহ

গর্ভাবস্থায় মায়ের আগ্রহ বিশেষ ধরণের খাবারে পরিবর্তন হয়ে উঠে। সাধারণভাবে মায়ের খাবারের প্রতি আগ্রহ পারিবারিক খাবারে বা নিয়মিত খাবারে বেশি থাকে। তার পাশাপাশি ভিটামিন, খনিজ যুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।

অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস

মায়ের গর্ভাবস্থায় অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস হলে তার শরীরে অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত মিষ্টি, চর্বি, অতিরিক্ত চিনি বা অতিরিক্ত মসলা যুক্ত খাবার মায়ের শরীরে অসুখের জন্য ক্ষতিকর।

ঘ্রাণ ও স্বাদে পরিবর্তন

ঘ্রাণ ও স্বাদে পরিবর্তন প্রেগন্যান্সির একটি মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে একটি। এটি গর্ভাবস্থার শুরুতে প্রায় সবকিছুর সাথে একটি সাথে আসতে পারে। ঘ্রাণে অস্বস্তি এবং স্বাদে পরিবর্তন প্রেগন্যান্সির সাধারণ লক্ষণ হিসাবে গণ্য করা হয়।

খাবারের ঘ্রাণে অস্বস্তি

গর্ভাবস্থার সময়ে মহিলাদের খাবারের ঘ্রাণ পরিবর্তন হয়। তাদের অনেক খাবারের স্বাদ বদলে যায় এবং কিছু খাবার তাদের ভুগলের জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠে।

স্বাদের পরিবর্তন

গর্ভাবস্থার সময়ে মহিলাদের স্বাদ পরিবর্তন হয় এবং তাদের পছন্দের খাবারে পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। কিছু খাবারের স্বাদ তাদের অনুভূতির পরিবর্তন করে দেয়।

প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি

Credit: shohay.health

প্রস্রাবের পরিবর্তন

 

প্রেগন্যান্সির প্রস্রাবের পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই সমস্যার মধ্যে বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন, প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন ইত্যাদি অনেক জটিল সমস্যা থাকতে পারে।

বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন

কিছুটা প্রস্রাবের মাধ্যমে প্রেগন্যান্সির সময় বেশি সময় প্রস্রাবের প্রয়োজন হতে পারে।

প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন

প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন হলে তা সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে আলাপ করতে হবে।

তাপমাত্রা ও রক্তচাপের পরিবর্তন

দেহের তাপমাত্রার বৃদ্ধি

রক্তচাপের হ্রাস বা বৃদ্ধি

প্রেগন্যান্সির সময়ে রক্তচাপ এবং হৃদপেশীতে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।

শারীরিক অনুভূতির পরিবর্তন

প্রেগন্যান্সির শুরুতে সামান্য উবুকি, মিথ্যা চাপ, অতিরিক্ত শ্বাস, ও মিথ্যা কান্টারের জন্য শারীরিক অনুভূতি পরিবর্তন সাধারণ হতে পারে। এছাড়া, সিনাসার, জ্বর, ও স্বাদ পরিবর্তন হতে পারে।

পেটে টান অনুভূতি

অস্বাভাবিক শারীরিক অনুভূতি

প্রেগন্যান্সির সময় অস্বাভাবিক শারীরিক অনুভূতি অনুভব করা সাধারণ।

Frequently Asked Questions

কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যাই?

প্রেগন্যান্সি প্রমাণ করার জন্য প্রথম দিনে পরীক্ষা করা যায়। তবে এটি সঠিক ফলাফল পেতে চাইলে আবার এটি পরে করা যেতে পারে।

প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি?

প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে হলেও অনেক মায়েরা কোন খাবার কিংবা গন্ধ বিরক্ত হয় । অন্যদিকে কিছু মায়েরা বমি করতে পারে এবং কঠিন বাচ্চারা বলতে পারে।

প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর বমি হয়?

প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর বমি হয় হয় না, এটা ব্যক্তি ভিত্তিক। কেউ প্রাথমিক ধারণা পাওয়ার পরেই বমি করতে পারে। কিছুক্ষণে বমি হওয়া স্বাভাবিক হতে পারে।

প্রেগনেন্ট হলে কত দিনের মধ্যে বোঝা যায়?

প্রেগনেন্ট হলে প্রথম ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যেই সাধারণত লক্ষণ দেখা যায়। এই সময়ে মাসিক নির্বাচনা বন্ধ হয়, স্তনভারকে বৃদ্ধি হয়, ক্রিয়াশীলতা কমতে পারে এবং মারাত্মক উস্কানি হতে পারে। তবে, নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

Conclusion

শিশুমেহেদী প্রেগন্যান্সির একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি সাধারণত একটি সমস্যা নয়, তবে যেখানে শিশুর অন্যান্য লক্ষণগুলির সাথে সমন্বয় করে দেখা যায়। প্রেগন্যান্সির লক্ষণগুলি শিশুর খাদ্য পর্যাপ্ততা, গতি না থাকা এবং উদ্দীপনা সম্পর্কে উপস্থাপন করে। যদি আপনি শিশুমেহেদী সন্ধান করছেন, তবে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

 


Spread the love

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *